মাঝে মাঝে দেশের বিখ্যাত মিডিয়া ও পত্রিকাগুলোর কমেন্ট দেখি। সাধারণ মানুষের চিন্তা-চেতনার প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে এসব কমেন্টে। দেশের মানুষকে বুঝতে ও পড়তে তাদের এই কমেন্তগুলো বেশ সহায়ক মনে হয়েছে।
সবচেয়ে মজার বিষয় হল, দেশের হলুদ মিডিয়া ও চেতনাধারিরা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। এখানে তাদের ব্যর্থতা নব্বই ভাগের উপরে। আপামর জনসাধারণ থেকে তারা অনেকটায় বিছিন্ন হয়ে পড়েছেন। আজকের আধুনিক সমাজে তাদের চেতনার সলতে নিভু নিভু প্রায়। দেশের সাধারণ মানুষ ও ইয়াং জেনেরেশান আগের থেকে যথেষ্ট স্মার্ট। তাদের চিন্তার পরিধিও অনেক বিস্তৃত মনে হয়েছে। যে কেউ ভুল-ভাল কোন কিছু তাদের গলঃধরণ করাতে পারবে না।
অনেক ইয়াং হয়ত বিপথে যাচ্ছে, তবে তারা কিন্ত আমাদের বুদ্ধিজীবিদের দেওয়া সবক নিচ্ছে না। এই হতাশার কথা হয়ত চেতনাধারিরা গভীরভাবে অনুভব করছেন।
জনগণকে সাথে নিতে না পারলে আপনাদের এই হলুদ সাংবাদিকতার স্বার্থকতা কী? এটা কিন্ত আমদের বুদ্ধিজীবি ও মিডিয়া কর্মীদের বোঝা উচিত। আগে মানুষ মিডিয়া কর্মীদেরকে শ্রদ্ধা করত তাদের নীতি ও আদর্শের কারণে। এখন মানুষ তাদের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। কী পরিমাণ ঘৃণা করে তা এসব কমেন্ট থেকে স্পষ্ট। হাজার হাজার লোক তাদের একটা সংবাদের প্রতিবাদ করছে। এটা তো বুদ্ধিজীবি ও মিডিয়া কর্মীদের জন্য সীমাহীন লজ্জার বিষয়।
আপনাদের কাছ থেকে মানুষ ভালোটা আশা করে। অন্তত এতটুকু চায় যে আপনারা গ্ণমানুষের কথা বলবেন। কিন্ত সত্য কথা হল, আপনারা আপনাদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা সমাজের উপর চাপাতে চান। যেটা অন্যায়। আপনি হয়ত হুমায়ুন আজাদের আদর্শ লালন করেন। কিন্ত আমদের সমাজ তো তার আদর্শকে মোটেও তোয়াক্কা করে না; তাহলে আপনি কেন সমাজের মানুষকে এসব কথা শুনিয়ে বিরক্ত করছেন। তারা আপনদের এসব কথা শুনতে চায় না। আস্তে আস্তে আপনারা সমাজ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।
সমাজের উপকার করার চেষ্টা করুন। ভালো করতে না পারলে অন্তত খারাপ করবেন না। চেতনার ফেরি করে সমাজকে নষ্ট করা থেকে বিরত থাকুন। আপনারা যতই মৌলবাদি বলে চিৎকার করবেন, আপনাদের তত গলা ব্যথা হবে। মানুষ এগুলো নিবে না। তারা এখন যথেষ্ট সচেতন।
Leave a Reply