ওসিলার ক্ষেত্রে আমাদের মূল অবস্থান
– সালাফরা তা’বী করতেন না। এজন্য কোনভাবেই তা’বীল করা যাবে না।
– আপনার এই কথা শুনে আমার একটা আরবী প্রবাদ মনে পড়েছে। প্রবাদটা বলছি। আপনি আগে আমাকে তা’বীল কাকে বলে সংক্ষেপে একটু বলুন।
ক. শব্দের আক্ষরিক অথর্ না নেয়াকে তা’বীল বলে।
খ. আপনি তাহলে বলছেন, সালাফরা সকলে আক্ষরিক অথর্ে বিশ্বাস করতেন। আক্ষরিক অথর্ ছেড়ে অন্য কোন অথর্ নিতেন না।
ক.জি। আমি এটাই বলতে চাচ্ছি।
খ. আচ্ছা, ইয়াদ শব্দের আক্ষরিক অথর্ কী।
ক. ইয়াদ বা হাত হলো যে কোন প্রাণীর বিশেষ একটা অঙ্গ যার সাহাযে্য বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করে। যেমন, মানুষের হাত। পিপড়ার হাত। হাতির হাত। এগুলো সব তাদের দেহের অংশ বা একটা বিশেষ অঙ্গ।
খ. সালাফরা আপনার এই আক্ষরিক অথর্ে বিশ্বাস রাখতেন?
ক. না.. মানে..
খ. না মানে কি। আপনি তো হা বলবেন। আপনি হাতের যেই আক্ষরিক অথর্ বললেন, সেটা সালাফরা বিশ্বাস করতেন?
ক. না। সালাফরা অঙ্গ-প্রতঙ্গ অথর্ে বিশ্বাস করতেন না।
খ. তাহলে আপনি কেন সালাফদের ব্যাপারে বললেন, তারা আক্ষরিক অথর্ে বিশ্বাস করতেন?
ক……। তবে সালাফরা তো ইয়াদকে সিফাত বলেছেন।
খ. ইয়াদের আক্ষরিক অর্থ সিফাত বা গুণ?
ক. না।
খ. তাহলে আপনি কেন বলছেন, সালাফরা আক্ষরিক অথর্ে বিশ্বাস করতেন?
ক. তারা এটাকে সিফাত বা গুণ কেন বললেন?
খ. আপনি এই প্রশ্ন করতে পারতেন কেউ কেউ একে সিফাত কেন বলেছেন, কিনন্তু আপনি কেন দাবী করলেন, সালাফরা তা’বীল করতেন না, আক্ষরিক অথর্ে বিশ্বাস করতেন? আপনার সংজ্ঞা অনুযায়ী আক্ষরিক অথর্ে বিশ্বাস না করা হলো তা’বীল। সালাফদের কেউ তো ইয়াদ বলে অংশ বা অঙ্গ উদ্দেশ্য নেয়নি। তাহলে সালাফদের কেউ ইয়াদের আক্ষরিক অথর্ে বিশ্বাস করেনি। সবাই আক্ষরিক অথর্ থেকে সরে গেছে। ফলে সবাই তা’বীল করেছে। যেহেতু আক্ষরিক অথর্ থেকে সরে যাওয়ার অথর্ই হলো তা’বীল করা। আমরা তো দেখছি, সব সালাফই তা’বীল করেছেন। অথচ আপনি বলছেন, সালাফরা তা’বীল করেননি।
ক. আচ্ছা, মেনে নিলাম সালাফরা আক্ষরিক অথর্ে বিশ্বাস করেননি। তাদের কেউ কেউ যে সিফাত বললেন?
খ. ইয়াদের আক্ষরিক অথর্ যেহেতু সিফাত বা গুণ নয়। সুতরাং কেউ যদি ইয়াদকে সিফাত বা গুণ বলে, তাহলে অবশ্যই বুঝতে হবে তিনি ইয়াদের তা’বীল করেছেন। কারণ আক্ষরিক অথর্ে ইয়াদ কখনও সিফাত বোঝায় না। এখন ইয়াদ বলে সিফাত উদ্দেশ্য নেয়ার অথর্ হলো, আক্ষরিক অথর্ থেকে সরে অন্য অথর্ে যাওয়া। আর এটাকেই তা’বীল বলে।
ক. আপনি বলতে চাচ্ছেন, সালাফদের কেউ কেউ যে ইয়াদকে সিফাত বলেছেন, এটাও এক ধরণের তা’বীল?
খ. অবশ্যই। এটা এক ধরণের তা’বীল নয়, বড় ধরণের তা’বীল। এবার আপনাকে আরবী প্রবাদটা শুনিয়ে দেই। ফাররা মিনাল মাতার ও কামা তাহতাল মিঝাব। বৃষ্টি থেকে বাচতে গিয়ে ঝরনার নীচে দাড়ানো। আপনি তো তা’বীল থেকে বাচতে গিয়ে বড় তা’বীলে চলে যাচ্ছেন।
ক. …..
আহলে হাদীসদের বিরুদ্ধে আমরা কেন কথা বলছি? বর্তমান যুগে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব জানা সমস্ত মুসলিমদের জন্য জরুরী! বিস্তারিত জানতে ভিডিও দেখুন
এখানে বক্তব্যের কিছু বিশেষ অংশ তুলে ধরা হলোঃ আহলে হাদীসদের কিতাবে সাহাবায়ে কেরাম রাঃ দের বিরুদ্ধে বিষোদগার পাওয়া যায়! আহলে হাদীসদের এক মহা (!) মনিষী বলেন,কিছু কিছু সাহাবী ফাসেক ছিলেন! (নাউযুবিল্লাহ) এদের কিতাবে আরো আছে, কিছু কিছু সাহাবীদের রাদিআল্লাহু আনহু বলা যাবেনা! (নাউযুবিল্লাহ)।
(অথচ হাদীসে বলা হয়েছে,সাহাবায়ে কেরাম রাঃ সমালোচকদের উপর আল্লাহর লানত!) ।
আহলে হাদীসদের কিতাবে আছে আল্লাহ আরশে বসে আছেন এবং কিয়ামতের দিন আরশে আল্লাহর পাশে রাসূল সাঃ বসবেন! (নাউযুবিল্লাহ) এদের আরো ভ্রান্ত আকিদাহ হলো, আল্লাহ তায়ালার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আছে! এরা বিশ্বাস করে আল্লাহর ছায়া আছে! আল্লাহ দৌড়ান! (নাউযুবিল্লাহ)
মাযহাবের ইমামদের শরিয়াহ সিদ্ধান্ত কুরআন ও হাদীসেরই অংশ ও ব্যাখ্যা। অথচ,এই আহলে হাদীসরা কুরআন-হাদীসের ব্যাখ্যা তথা মাযহাবের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে!
গত ২২ ডিসেম্বর ২০১৫, ঐতিহ্যবাহী জামেয়া ক্বাসিমুল উলুম দরগাহে হজরত শাহজালাল রহঃ, সিলেট বাংলাদেশ এর উদ্যোগে,মাযহাব বিষয়ক তাহাফ্ফুজে সুন্নাহ কনফারেন্স,মাযহাব ও আহলে হাদীসদের ভ্রান্ত আকিদাহ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন,মুফতী ইজহারুল ইসলাম আল-কাউসারী সাহেব।
মানুষ কম জেনে যখন বেশি বয়ান করে তখন তার বড় বড় ভূল হয়। মাদানী সাহেবের অবস্থাও অনেকটা এরকম। আক্বিদার ব্যাপারে তাহার এলেম এত বেশি! যে, তার হুশও নেই তাবলীগ জামাত বা দেওবন্দীদের সাইজ করতে গিয়ে অনেক বিষয়ে পরক্ষ ভাবে রাসূল সা. , সাহাবীদের্, তাকফীর করে ফেলছে বা আহলুল বিদায়া ওয়াল ফিরকার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। আল্লাহ তায়ালা এ ধরণের শায়খ থেকে উম্মাহকে হেফাযত করেন।
এবার মূল বিষয়ে আসি। বছর খানিক আগে iDEA এর youtube চ্যানেল iDEA TV এ “টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা সম্পর্কে মদিনা ইউনির্ভাসিটির প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট ” নামে একটি ভিডিও আপ করেছিলাম। কিছু দিন আগে এ ভিডিওটির কাউন্টার হিসেবে মাদানী সাহেবের একটি ভিডিও নজরে পড়লো। ব্যাচারা মাদানী সেহেবকে এটা নিয়েই নাজেহাল করে দেওয়া যাবে। সামনের কোন এক পোস্টে সেটি নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। আজকের আলোচনার বিষয়ে আসি। এ ভিডিওটির মধ্যে তিনি বলেছেন যে ফাযায়েলে আমাল,ফাযায়েলে হজ্জে, ফাযায়েলে সাদাকাতে এমন কিছু কিচ্ছা রয়েছে যা বেরলভিদেরও হার মানিয়ে দেয়। উদাহারণ হিসেবে সে কবর থেকে হাত বের হওয়ার কিচ্ছার কথা বললেন।
কিন্তু আফসোস, কারামত সম্পর্কে এ তথাকথিত শায়খের স্পষ্ট জ্ঞান না থাকার কারনে এ ঘটনাকে আক্বিদার অংশ বানালেন। এবং এর উপর ভিত্তি করে বেরলভি আক্বিদার সাথেও মিলিয়ে দিলেন। কিন্তু জনাব মাদানী সাহেব, এ ধরনের ঘটনা(কবর থেকে শরীরের অংশ বা সম্পূর্ণ শরীর বের হওয়া) যদি হাদীস হিসেবে বর্ণনা করা হয় তাহলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ও বিভ্রান্তকারী(বেরলভী) আক্বিদার প্রচারক ছিলেন(নাউযুবিল্লাহ), যে সাহাবী এ ধরণের ঘটনা বর্ণনা করবেন তার ব্যাপারে কি হুকুম হবে। ঐ সকল মুহাদ্দিসদের ব্যাপারেই বা কি হুকুম হবে যারা এ ধরণের ঘটনা সম্বলিত রেওয়াতকে নিজেদের কিতাবে ঠাই দিয়েছেন??? আর এ ধরনের ঘটনা যদি ইবনুল কাইয়্যিম রাহঃ বর্ণনা করেন বা এ ধরণের আক্বিদাকে যদি ইবনে তাইমিয়া রাহঃ সাপোর্ট করেন তাহলে তাদের ব্যাপারে কি হুকুম হবে?
এবার আমরা এক এক করে দেখি।
শুধু হাত নয় পূর্ণ দেহ কবর থেকে বের হওয়ার ঘটনা হাদিসে রয়েছে
ফাজায়েলে হজ্বেতো শুধুমাত্র হাত বের হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামতো কবর থেকে সম্পূর্ণ দেহ বের হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেছেন।
হাদীসটি নিম্নরুপ –
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল স. বলেন,
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ , عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَعْدٍ الْجُعْفِيِّ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ، قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” حَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ ، فَإِنَّهُ كَانَتْ فِيهِمُ الأَعَاجِيبُ ، ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُ ، قَالَ : خَرَجَتْ رُفْقَةٌ مَرَّةً يَسِيرُونَ فِي الأَرْضِ فَمَرُّوا بِمَقْبَرَةٍ ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ : لَوْ صَلَّيْنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ دَعَوْنَا اللَّهَ لَعَلَّهُ يُخْرِجُ لَنَا بَعْضَ أَهْلِ هَذِهِ الْمَقْبَرَةِ فَيُخْبِرُنَا عَنِ الْمَوْتِ ، قَالَ : فَصَلُّوا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ دَعَوْا ، فَإِذَا هُمْ بِرَجُلٍ خِلاسِيٍّ قَدْ خَرَجَ مِنْ قَبْرٍ يَنْفُضُ رَأْسَهُ ، بَيْنَ عَيْنَيْهِ أَثَرُ السُّجُودِ ، فَقَالَ : يَا هَؤُلاءِ مَا أَرَدْتُمْ إِلَى هَذَا ؟ لَقَدْ مِتُّ مُنْذُ مِائَةِ سَنَةٍ فَمَا سَكَنَتْ عَنِّي حَرَارَةُ الْمَوْتِ إِلَى السَّاعَةِ ، فَادْعُوا اللَّهَ أَنْ يُعِيدَنِي كَمَا كُنْتُ ” .
“তোমরা বনী ইসরাইলদের ঘটনা বর্ণনা করো। কেননা তাদের মাঝে অনেক আশ্চর্যজনক ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। এরপর রাসূল স. একটি ঘটনা বর্ণনা করলেন,
একদা বনী ইসরাইলের কয়েকজন বন্ধু ভ্রমণে বের হল। তারা একটি কবরস্থান দিয়ে অতিক্রম করছিল । তারা একে -অপরকে বলল, “আমরা যদি, দু’রাকাত নামায আদায় করে আল্লাহর কাছে দুয়া করি, তাহলে আল্লাহ তায়ালা হয়তো কবরের কোন ব্যক্তিকে আমাদের সামনে উপস্থিত করবেন। সে মৃত্যু সম্পর্কে আমাদেরকে বলবে।
তারা দু’রাকাত নামায আদায় করল। এরপর আল্লাহর কাছে দুয়া করল। হঠাৎ এক ব্যক্তি মাথা থেকে মাটি পরিষ্কার করতে করতে কবর থেকে বের হয়ে এল। তার কপালে সিজদার চিহ্ন ছিল। সে বলল, তোমরা কী চাও? আমি একশ বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেছি। এখনও আমার দেহ থেকে মৃত্যুর যন্ত্রনা উপশমিত হয়নি। আল্লাহর কাছে দুয়া করো, যেন তিনি আমাকে পূর্বের স্থানে (কবরে) ফেরত পাঠিয়ে দেন”
যেসব বিখ্যাত মুহাদ্দিস হাদীসটি তাদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন,
১. ইবনে আবিদ দুনিয়া রহ., মান আশা বা’দাল মাউত। হাদীস নং ৫৮
২. মুসনাদে আব্দ ইবনে হুমাইদ, হাদীস নং ১১৬৪
৩.ফাওয়াইদু তামাম আর-রাজী, হাদীস নং ২১৭
৪. আল-জামে লি আখলাকির রাবী, খতীব বাগদাদী, হাদীস নং ১৩৭৮
৫. আল-বা’স, ইবনে আবি দাউদ, হা.৫
৬.আজ-জুহদ, ইমাম ওকী ইবনুল জাররাহ, হাদীস নং৮৮
৭. আজ-জুহদ, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ.
৮. মাজালিস মিন আমালি ইবনে মান্দাহ, ইবনে মান্দাহ, হাদীস নং ৩৯৩
৯. আল-মাতালিবুল আলিয়া, ইবনে হাজার আসকালানী রহ. হাদীস নং ৮০৭
১০. ফুনুনুল আজাইব, হা.১৯
১১. শরহুস সুদুর, জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহ. পৃ.৪২-৪৩
ঘটনাটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত। তামাম আর-রাজী এটি সরাসরি রাসূল স. থেকে বর্ণনা করেছেন। ইবনে হাজার আসকালানী রহ. হযরত জাবির রা. থেকে মওকুফ সূত্রে বর্ণনা করেছেন, যেটি মরফু এর হুকুমে। সুতরাং ঘটনার প্রামাণ্যতার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
এবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম সম্পর্কে মতিউর রহমান মাদানী কি ফতোয়া দিবে ??? মাদানী সাহেবের কাছে আরো কয়েকটি প্রশ্ন
রাসূল স. এধরনের ঘটনা বর্ণনা করে উম্মতকে কুফুরী শিক্ষা দিয়েছেন? মুহাদ্দিসগণ ঘটনাটি তাদের কিতাবে উল্লেখ করে কুফুরী প্রচার করেছেন? বিখ্যাত ইমামগণ এই ঘটনার মূল বিষয় তথা কবর থেকে কেউ বের হয়ে কথা বলার উপর কোন আপত্তি করেননি। এটি অসম্ভব কিংবা এটি কুফুরী-শিরকী বলা তো দূরের বিষয়। সুতরাং নতুনভাবে এটাকে কুফুরী -শিরকী বলে সেসব ইমামদেরকে কেন অভিযুক্ত করছেন? ঘটনাটি যদি কুফুরী-শিরকী হয়, তাহলে যেসব মুহাদ্দিস এই ঘটনা তাদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন, এবং এর উপর কোন অভিযোগ করেননি, তারা সকলেই কি কুফুরী-শিরকী করেছেন? মূল ঘটনা যদি কুফুরী-শিরকী হয়, তাহলে এর সনদ দেখার কোন প্রয়োজন নেই। কেননা, কুফুরী বিষয় বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হলেও কুফুরী, দুর্বল সনদে রর্ণিত হলেও কুফুরী। সুতরাং মূল ঘটনা যদি কুফুরী-শিরকী হয়, তাহলে উপর্যুক্ত ইমাম ও মুহাদ্দিসগণ সম্পর্কে আপনার বা আপনাদের ফতোয়া জানতে চাই।
ইবনুল কাইয়্যিম জাওযিয়্যাহ এর কিতাবে বর্ণিত এ ধরণের ঘটনাঃ
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম জাওযিয়্যাহ (রাহঃ) শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রাহঃ এর খাছ সাগরিদ ছিলেন রবং তিনি বাংলাদেশের আহলে হাদীসদের কাছেও অনেক মান্যবর একজন আলেম। ইবনুল কাইয়্যিম রাহঃ ও কবর থেকে সম্পূর্ণ মানুষ বের হওয়ার বিভিন্ন রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন যার কিছু রাসূল স. থেকে বর্ণনা করা হয়েছে কিছু সাহাবী থেকে এবং কিছু সালাফদের থেকে। আমরা এর একটি রেওয়াত এখানে উল্লেখ করবো ইনশাআল্লাহ।
ইবনুল কাইয়্যিম রাহঃ কিতাবুল কুবুর এর রেফারেন্সে তার কিতাবুর রুহ এ লেখেন –
এক ব্যাক্তির চাক্ষুষ ঘটনাঃ
আল্লামা শা’বী রাহঃ এক ব্যাক্তির ঘটনা বর্ণনা করেছেন যে,তিনি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামকে বললেন, (হে আল্লাহর রাসূল!) আমি বদরের পাশদিয়ে অতিক্রম করছিলাম। এমন সময় দেখতে পেলাম এক ব্যাক্তি মাটি ভেদ করে বের হচ্ছে এবং এক ব্যাক্তি হাতে হাতুরী দিয়ে আঘাত করছে।পিটুনি খেতে খেতে সে মাটিতে ধুকে পড়ছে। আবার বের হচ্ছে , আবার ঢুকছে। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বললেন এ হল আবু জাহল । কিয়ামত পর্যন্ত তাকে এরুপে শাস্তি প্রদান করা হবে। (কিতাবুর রুহ, পৃ-১০০)।
আরব বিশ্বেতো কিতাবুর রুহ খুব গুরুত্বের সাথে মুতালায়া করা হয়। শায়খ মুহাম্মদ ইবনে সালেহ আল উসাইমিন রাহঃ কিতাবুর রহঃকে খুব গুরুত্বের সাথে মুতালায়া করতে বলেছেন। এছাড়া কিতাবুর রুহ সামেলাতেও রয়েছে। তাও আবার আক্বিদার কিতাব হিসেবে। মতিউর রহমান মাদানী ফাযায়েলের কিতাব ‘ফাযায়েলে হজ্বে’ বর্ণিত কবর থেকে হাত বের হওয়ার ঘটনা বর্ণনার কারণে যে মন্তব্য করেছেন ঠিক একই মন্তব্য কি আক্বিদার কিতাব কিতাবুর রুহ এর ক্ষেত্রে দিতে পারবেন ??? এবং এ কিতাবের লেখক ইবনুল কাইউম রাহঃ সম্পর্কে তানি কি ফতোয়া দিবেন ? এবং ইবনে উসাইমিন সহ অন্যান্ন যে সায়খগণ এ কিতাব মুতালায়া করতে বলেছেন তাদের ক্ষেত্রেই বা কি ফতোয়া দিবেন ???
ইবনে তাইমিয়া রাহঃ এর বক্তব্য থেকেও বুঝা যায় যে আল্লাহ চাইলে মৃত্যুর পর সম্পূর্ণ মানুষও চলে আসতে পারেঃ
ইবনে তাইমিয়া রাহঃ বলেন –
অনেককে দেখতে পাবে, তাদের নিকট কেউ ওলী বা বুজুর্গ হওয়ার মানদন্ড হল, তাদের কাছ থেকে কিছু কাশফ প্রকাশিত হওয়া। অস্বাভাবিক ও অপ্রাকৃতিক ঘটনা সংঘঠিত হওয়া। যেমন, কারও দিকে ইঙ্গিত করলে সাথে সাথে মৃত্যুবরণ করা। অথবা বাতাসে উড়ে মক্কায় বা অন্য কোথাও যাওয়া । অথবা কখনও পানির উপর হাটা। বাতাস থেকে পাত্র পানি দ্বারা পূর্ণ করা। অদৃশ্য থেকে টাকা-পয়সা এনে খরচ করা। অথবা হঠাৎ মানুষের চোখ থেকে অদৃশ্য হওয়া। অথাব তার অনুপস্থিতে কিংবা তার মৃত্যুর পরে তাকে কেউ ডাক দিলে উপস্থিত হওয়া এবং ঐ ব্যক্তির প্রয়োজন পুরণ করা। মানুষের চুরি হয়ে যাওয়া জিনিসের সংবাদ বলে দেয়া। অদৃশ্য কোন বিষয়ের বর্ণনা দেয়া। অসুস্থ কারও সম্পর্কে সংবাদ দেয়া। ইত্যাদি।
এগুলোর কোনটি সংগঠিত হওয়া কখনও এটা প্রমাণ করে না যে, এ ব্যক্তি আল্লাহর ওলী। বরং সমস্ত ওলী-বুজুর্গ এ বিষয়ে একমত যে, কেউ যদি বাতাসে উড়ে, পানির উপর চলে তাহলে দেখতে হবে, সে রাসূল স. এর প্রকৃত অনুসারী কি না? শরীয়তের প্রকাশ্য বিধি-বিধান সে অনুসরণ করছে কি না? যদি এগুলো না থাকে তাহলে তার মাধ্যমে ধোকায় পড়া যাবে না। ওলীদের কারামত এসব বিষয় থেকে অনেক বড়। এধরনের অস্বাভাবিক বিষয় যার থেকে প্রকাশিত হয়, সে কখনও আল্লাহর ওলী হতে পারে, আবার আল্লাহর শত্রুও হতে পারে। কেননা এধরনে বিষয় অনেক কাফের, মুশরিক, আহলে কিতাব ও মুনাফিক থেকে প্রকাশিত হয়ে থাকে। অনেক বিদয়াতী থেকে এগুলো প্রকাশিত হয়। কখনও এগুলো শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে।
সুতরাং এই ধারণা করা সমীচিন নয় যে, এধরনের কোন ঘটনা কারও থেকে প্রকাশিত হলেই সে আল্লাহর ওলী। বরং কোন ব্যক্তিকে তার গুণাবলী, কুরআন-সুন্নাহের অনুসরণের দ্বারা আল্লাহর ওলী গণ্য করা হবে। ইমানের নূর ও কুরআনের নূর দ্বারা তাদেরকে চেনা সম্ভব। এবং বাতেনী ইমানের হাকিকত দ্বারা তাদের বাস্তবতা অনুধাবন করা হয়। সেই সাথে প্রকাশ্য শরীয়তের বিধি-বিধান ওলী হওয়ার অপরিহার্য অংশ।
[মাজমুয়াতুল ফাতাওয়া, খ.১১, পৃ.২১৩]
ইবনে তাইমিয়া রহ. কিছু অস্বাভাবিক ঘটনার উদাহরণ দিয়েছেন, যেগুলো অপ্রাকৃতিক ঘটনা হিসেবে ঘটতে পারে। তিনি স্পষ্টভাষায় বলেছেন, ওলীদের কারামত এসব উদাহরণ থেকেও অনেক বড়। ইবনে তাইমিয়া রহ. যেসব উদাহরণ দিয়েছেন, এর মাঝে আমাদের আলোচ্য বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি উদাহরণ রয়েছে। সেটি হল, কোন মৃত ব্যক্তি উপস্থিত হওয়া। একজন মৃতব্যক্তি কারও সামনে উপস্থিত হওয়াটা সম্ভব। এটি কারামত হিসেবে যে কোন ওলীর ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। এধরনের কারামত প্রকাশিত হওয়া শরীয়তে অসম্ভব নয়। বরং এর চেযে বড় কারামত সংঘঠিত হতে পারে। ইবনে তাইমিয়া রহ. এর বক্তব্য থেকে বিষয়টি সুস্পষ্ট।
এ বিষয়ে আক্বিদাগত কিছু মৌলিক কথাঃ
আমরা বিশ্বাস করি, ওলীদের থেকে মৃত্যুর পূর্বে যেমন কারামত প্রকাশিত হতে পারে, তাদের মৃত্যুর পরেও কারামত প্রকাশিত হতে পারে। এটিই আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আকিদা। মৃত্যুর পরে কারামত প্রকাশিত হবে না, বা হওয়া অসম্ভব, এজাতীয় ধ্যান-ধারণা রাখা কুরআন ও সুন্নাহের বড় একটি অংশ অস্বীকারের নামান্তর। একইভাবে নবীদের থেকে তাদের জীবদ্দশায় যেমন মু’জিযা প্রকাশিত হতে পারে, তাদের ইন্তেকালের পরেও প্রকাশিত হতে পারে। কারণ কারামত একমাত্র আল্লাহর ক্ষমতা ও ইচ্ছায় সংঘঠিত হয়। এতে বান্দার ক্ষমতা ও ইচ্ছার কোন প্রভাব নেই। আল্লাহ কখন কার মাধ্যমে কোন কারামতের প্রকাশ ঘটাবেন তিনিই ভালো জানেন। এক্ষেত্রে বান্দা শুধুমাত্র উপলক্ষ। সুতরাং মৃত্যুর পূর্বেও যেমন আল্লাহর ক্ষমতা ও ইচ্ছায় কারামত প্রকাশিত হয়, তেমনি মৃত্যুর পরেও আল্লাহর ইচ্ছা ও ক্ষমতায় কারামত প্রকাশিত হতে পারে। আল্লাহ তায়ালা চাইলে মৃত্যুর পরও রুহ,দেহ বা প্রতিচ্ছবির মাধ্যমে কারামত সংগঠিত করতে পারেন। অর্থাৎ আল্লাহ চাইলে মৃত্যুর পরও কবর থেকে কারো হাত বা সম্পূর্ণ দেহও বের হয়ে আসতে পারে।এটা কারামত হিসেবেও করতে পারেন আবার কোন কিছুর নিদর্শণ হিসেবেও করতে পারেন।এর বেশ কিছু উদাহারণ পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এ ধরণের ঘটনাকে অসম্ভব মনে করলে হাদীসে বর্ণিত ঘটনা সমূহকেও অসম্ভব মনে করতে হবে।(নাউযুবিল্লাহ)
হাদীসগ্রন্থ অধ্যায়ন করলে এ কথা প্রতিয়মান হয় যে, জাহেলী যুগে বিভিন্ন অসুস্থতা বালা মুসিবাত ইত্যাদির জন্য ঝাড় ফুঁক করা তাবিজ ইত্যাদি ব্যবহার করার প্রচলন ছিল। তাদের অনেকে শিরকী কালাম ইত্যাদি দ্বারা ঝাড় ফুঁক করত। তাবিজ ইত্যাদি গলায় ঝুলিয়ে রেখে তার উপর ভরসা করত। আল্লাহর প্রতি আরোগ্যের বিশ্বাস না রেখে শুধুমাত্র তাবিজের উপর বিশ্বাস রাখত। তারা মনে করত এই তাবিজই তাকে আরোগ্য দান করবে। এ জন্য রাসুল সা. এ ধরণের ঝাড় ফুঁক তাবিজ ইত্যাদি করতে নিষেধ করেছিলেন।
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ : مَنْ تَعَلَّقَ تَمِيمَةً فَلا أَتَمَّ اللَّهُ عَلَيْهِ
হযরত উকবা ইবনে আমের রা. থেকে বর্ণিত। রাসুল সা. বলেন যে ব্যক্তি রক্ষাকবচ ঝুলিয়ে রাখল, আল্লাহ তায়ালা তাকে সম্পন্ন করবেন না৷ অর্থাৎ তাকে সুস্থ করবেন না৷ (মুসনাদে আবী ইয়ালা ৩/২৯৫ হা. ১৭৫৯ মুসনাদে উকবা ইবনে আমের জুহানী।)
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَقُولُ ্র إِنَّ الرُّقَى وَالتَّمَائِمَ وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুল সা. কে বলতে শুনেছি যে, নিশ্চয় ঝাড় ফুক করা, রক্ষাকবচ ব্যবহার করা ও স্বামী বা স্ত্রীকে (ঝাড় ফুঁক বা রক্ষকবচের মাধ্যমে) বশিভুত করা শিরক৷ ( আবু দাউদ ৪/১১ হা. ৩৮৮৫ চিকিৎসা অধ্যায়, তাবিজ ঝুলিয়ে রাখা পরিচ্ছেদ।)
(এ হাদীস দুটি সম্পর্কে রিসালাটির শেষের দিকে ব্যাপক আলোচনা রয়েছে)
বিভিন্ন বালা মুসিবতের জন্য রাসুল সা. বিভিন্ন দুআও শিক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে রাসুল সা. ঝাড় ফুঁক তাবিজ ইত্যাদিতে শিরক জাতীয় কিছু না থাকলে তা করার অনুমোদন দিয়েছেন।
আহলে হাদীসদের বর্তমান মুখপাত্র মুতিউর রহমান মাদানী বিভিন্ন ইসলামী দলের বিরুদ্ধে লেকচার দিয়ে থাকেন। এসব ইসলামী দলকে কাফের-মুশরিক, খারেজী, বাতিল, গোমরাহ আখ্যা দেয়া তার মূল কাজ। এই লোকটি বর্তমান বিশ্বে দ্বীনের খেদমতে সবচেয়ে বেশি অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী দেওবন্দী উলামায়ে কেরাম সম্পর্কেও লেকচার দিয়েছে। সে দেওবন্দী আকিদা নামে একটি লেকচার দিয়েছে। আহলে হাদীসদের নিকট এ লেকচারটি খুবই পরিচিতি লাভ করেছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই তথাকথিত আহলে হাদীস মাদানী দুনিয়ার অন্য সবার বিরুদ্ধে লেকচার দিলেও আহলে হাদীস আলেমদের সম্পর্কে কখনও কোন লেকচার দেয় না। সালাফী আলেমদের বাতিল আকিদার বিরুদ্ধে কোন লেকচার সে দেয় ন। সৌদি আরবের নিয়মিত বেতন-ভাতা ভোগ করার কারণে সৌদি সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধেও মুখ খোলে না। এই দরবারী আলেম যেসব কারণ দেওবন্দী আলেমদের সমালোচনা করেছে, হুবহু সেসব আকিদা তথাকথিত সালাফী বা আহলে হাদীস আলেমরা পোষণ করলেও সে কখনও এদের বিরুদ্ধে কিছু বলে না। নিজের দলের হাজারটা ভুল থাকলেও সে অন্যের ভুল ধরতে উস্তাদ।
দেওবন্দী আলেমরা যদি কুফুরী-শিরকী আকিদা রাখে, তাহলে তাদের চেয়ে জঘন্য আকিদা রেখে তথাকথিত সালাফী-আহলে হাদীসরা তুলসী পাতা হয় কী করে? আমরা এবারের আলোচনায় ভারত উপমহাদেশের আহলে হাদীসদের বিখ্যাত আলেমদের আকীদা সম্পর্কে আলোচনা করবো। মতিউর রহমান ও তার ভক্তদের কাছে নিবেদন থাকবে, এসব আহলে হাদীসদের বিরুদ্ধেও লেকচার তৈরি করুন। তাদেরকে কাফের-মুশরক, বাতিল-গোমরাহ ইত্যাদি আখ্যা দিয়ে লেকচার দিন। আমরা আপনাদের উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম। আমরা এ পর্বগুলোতে মতি মাদানীর মিথ্যাচারের জওয়াব দিবো না। শুধু আহলে হাদীসদের সেসব আকিদা বর্ণনা করবো, যেগুলো মাদানী আহলে হাদীসদের নিকট কুফুরী ও শিরকী। ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে দেওবন্দী আকিদার নামে মতি মাদানী দেওবন্দী আলেমদের সম্পর্কে যে মিথ্যাচার করেছ তার বিস্তারিত উত্তর দেয়া হবে।
হযরত উমর রা. ও হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. শরীয়ত বিরোধী মাসআলা দিতেন:
জামিয়া সালাফিয়া বেনারস এর গবেষক মুহাম্মাদ রইস নদভী আহলে হাদীস তানবীরুল আফাক নামে একটি কিতাব লিখেছে। এ কিতাবে সে হযরত উমর রা. ও হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা, সম্পর্কে লিখেছে,
অর্থাৎ স্পষ্টত: শরীয়তের নির্দেশনার বিপরীতে এই দু’জন সম্মানিত সাহাবীর অবস্থান আমলযোগ্য ও শরীয়তের দলিল হতে পারে না। এটিও স্পষ্ট যে, বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত হলো, এই দুই সাহাবী যেহেতু শরীয়ত বিরোধী বিষয়টি গ্রহণ করেছিলেন, এজন্য তাদেরকে শরীয়তবিরোধী আখ্যায়িত করা হবে। [তানবীরুল আফাক, পৃ.৮৭-৮৮]
নাউযুবিল্লাহ, ছুম্মা নাউযুবিল্লাহ। হযরত উমর রা. ও হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. কে বার শরীয়ত বিরোধী আখ্যা দেয়ার মূল মাসআলাটি হলো, একই সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়া। পুরো মুসলিম উম্মাহ এ বিষয়ে একমত যে, একই সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত। তথাকথিত গাইরে মুকাল্লিদরা সমগ্র সাহাবা ও মুসলিম উম্মাহের বিরোধীতার করে তিন তালাককে এক তালাক বানিয়েছে। হযরত উমর রা. ও হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. যেহেতু তাদের মতের বিপক্ষে গিয়েছে, এজন্য বার বার তাদেরকে শরীয়ত বিরোধী আখ্যা দিয়েছে, নাউযুবিল্লাহ। এসব লেখা পড়লে সন্দেহ হয়, এটি শিয়াদের লেখা না কি আহলে হাদীসদের?
Page 2 of 6
Designed By ijharul islam & Copyright iDEA