এ ব্যাপারে ওলামায়ে দেওবন্দের মত আলোচনা করার আগে সকলকে একটা বিষয় স্পষ্ট করে দেওয়া দরকার যে আহলে হাদীস শায়খগণ এ ব্যাপারে ওলামায়ে দেওবন্দের নামে খেয়ানতের সাথে মিথ্যাচার করে আসছে। ওলামায়ে দেওবন্দের বিভিন্ন কিতাব থেকে এক অংশ প্রকাশ করে আলোচনার ফলাফলকে চেপে রাখে। এটা তাদের নতুন কোন পদ্ধতি না। সাধারণ মানুষ যেহেতু বড় বড় আরবী কিতাব মুতালায়া করে তাদের মত যাচাই করতে পারে না তাই দলিলের চিপায় ফেলে সাধারণ মানুষদের আই ওয়াশ করে আসছে। তারা যে অংশটুকু গোপন করে আসল বিষয় সে অংশের মধ্যেই বিদ্যমান থাকে। আলোচনা করতে গিয়ে আমি সে গোপন করা অংশটুকুই প্রকাশ করবো ইনশাল্লাহ।
হযরত মাওলানা মুফতী রশীদ আহমাদ গাঙ্গুহী রহ.
ফকীহুন্নফস হযরত মাওলানা মুফতী রশীদ আহমাদ গাঙ্গুহী রহ.ও মুনাজাত অস্বীকারকারীদের সমালোচনা করেছেন। (আল কাওকাবুদ্দুররী: ২/২৯১)
হাকীমুল উম্মাত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহ.
নামাযের পরে ইমামের দুআ’ করা এবং উপস্থিত লোকদের আমীন বলার বিষয়ে অনেক আলোচনা-পর্যালোচনা করা হয়েছে। ইমাম ইবনে আরাফা এবং অন্যান্যদের বক্তব্যের সার কথা এই যে, যদি নামাযের পরের দুআ’ এই বিশ্বাসে করা হয় যে, এটা নামাযের ছুন্নাত-মুস্তাহাবসমূহের একটি ছুন্নাত বা মুস্তাহাব আমল। তাহলে এটা বৈধ নয়। তবে এ ধরণের বিশ্বাস পোষণ করা ব্যতীত যদি এ জন্য দুআ’ করে যে, এটা স্বতন্ত্র একটা মুস্তাহাব ইবাদাত। তাহলে দুআ’র মূল হুকুমের উপর ভিত্তি করে এটাও মুস্তাহাব হবে যেহেতু দুআ’র ফজিলত কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। (ইমদাদুল ফতোয়া-১ম খন্ড, ৮০৪ পৃষ্ঠা)